Thursday 13 October 2016

এরকম মুসলিম কই?! কোথায় আছে এরকম মুসলিম?!

ইউটিউবে ইনজামাম উল হকের একটা দারুন ভিডিও দেখলাম। আপনারা যানেন যে উনি এখন দাওয়াহর কাছে নিয়োজিত আছে। আসলে উনি একটা ঘটনা শোনান। ঘটনাটা মুসলিম উম্মাহর জন্য এতটাই শিক্ষনীয় যে, আমি না শেয়ার করে পারছি না। একবার ইনজামাম, মুহা. ইউসুফ এবং ব্রায়ান লারা ডিনার করছিলেন। খেতে খেতে মুহা. ইউসুফ ব্রায়ান লারাকে ইসলামের ব্যাপারে বলছিলেন। তিনি বলছিলেন ইসলাম পরিবারের ব্যাপারে কি বলে, স্ত্রীর সাথে ব্যবহার নিয়ে কি বলে, লেনদেন ব্যাবসার ব্যাপারে কি বলে, সমাজ এবং রাষ্ট্রের ব্যাপারে কি বলে ইত্যাদি। একজন মুসলিম কেমন হবে সে ব্যাপারেও বলেন। সব শোনার পর ব্যায়ান লারা কিছুক্ষন চুপ থাকেন। তারপর বলেন, 'আপনি যা শোনালেন তার সব গুলোই খুব ভালো। প্রত্যেক মানুষকেই এসব মেনে চলা উচিত। অবশ্যই এটা উত্তম আদর্শ। কিন্তু এরকম মুসলিম কই?! কোথায় আছে এরকম মুসলিম?!' ইনজামাম সেই রাতে ঘুমোতে পারেননি শুধু এই প্রশ্নের জন্য।তাঁর কাছে টাকা পয়সা, মান সম্মান, দশ হাজার রান সবই ছিল। তারপরেও শুধু এই প্রশ্নের জন্য তিনি দাওয়াহ দেওয়া শুরু করেন। মাশা'আল্লাহ! আল্লাহ উনাকে সফলতা দান করুন।

আমাদের সবার উচিত এই প্রশ্ন নিয়ে চিন্তাভাবনা করা। আমরা ইসলামের আদর্শের কথা প্রচার করি কিন্তু নিজে তা সঠিকভাবে মানিনা। আমরা ভুলে যায় ইসলামের সব ভালো কথায় প্রথমে নিজের জন্য। নিজে মেনে চলার জন্য। উমার (রা.) বলতেন সব থেকে ভালো দাওয়াহ হল যা নিজের ব্যবহার দ্বারা করা হয়। আমরা যতক্ষন ভালো মুসলিম না হবো ততক্ষন ইসলামের আদর্শ অন্যদের প্রভাবিত করবে না। এটা স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। কেউ যদি বলে আমার কাছে আলো আছে আর সে নিজেই অন্ধকারে থাকে তবে কে তার কথায় বিশ্বাস করবে? আমার খুব ভালো লাগা একটা কথা আপনাদের শোনাব, পপ স্টার ক্যাট স্টীভেন্স একবার বলেছিলেন, 'ভালো হয়েছে আমি মুসলিমদের সাথে পরিচিত হওয়ার আগেই কুর'আন পড়ে নিয়েছিলাম। আজকের মুসলিমদের দেখে আমি কখনওই কুর'আন পড়তাম না (এবং ইসলাম গ্রহণ করতাম না)।

Wednesday 12 October 2016

ফেসবুক পোষ্ট - ২

✿ মহরম কোন শোকের মাস নয়। ৯ এবং ১০ মহরম আশুরার রোজা। এই রোজা শোকের রোজা নয়। এই রোজা রাসুল (সা.) করতেন এবং করতে বলেছিলেন কারবলার ঘটনার অনেক আগেই। এটা মুশা (আ.) -এর সুন্নাত। এই রোজার সাথে হাসেন হুসেন (রা.) -এর মৃত্যুর কোন সম্পর্ক নাই। আর যারা হাসান হুসেন (রা.) -এর মৃত্যু দিনকে শোক দিবস বলে পালন করেন তারা কি উমার, উসমান, আলী (রা.) এবং ইসলামের ইতিহাসের হাজারো শহীদদের মৃত্যু দিন গুলোকেও শোক দিবস বলে পালন করেন?! সাবধান হোন! ইসলামে তিন দিনের বেশি শোক পালন নিষিদ্ধ। কারবলা এবং বানোয়াটি মহরমের নামে যতকিছু করা হয় তার সবই শিয়াদের সৃষ্টি। শিয়ারা ইসলাম থেকে বেড়িয়ে যাওয়া এক দল। যাদের বৈশিষ্ট্যই হল ধর্মে নতুন কিছু সৃষ্টি করা, বাড়াবাড়ি করা এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করা।

✿ মহরম একটা হিজরি মাসের নাম। এছাড়া মহরম নামে ইসলামে আর কিছুই নাই।

✿ বুড়ো বয়সে সন্তানদের বাবা-মাকে না দেখার ঘটনা গুলো এমন পর্যায়ে চলেগেছে যে, কেউ যদি বুড়ো বাবা-মায়ের একটু খেয়াল রাখছে সে আমাদের সমাজে একজন চর্চিত ভালো মানুষ হয়ে যাচ্ছে। সবাই যেন অবাক হয়ে যাচ্ছে! ভালো কাজ আর ভালো মানুষের সংজ্ঞা এতটাই বদলে গেছে যে, নিজ জন্মদাতা বাবা-মায়ের সেবা করাটাও এখন ভালো কাজ! অথচ এটা এমন একটা দায়িত্ব যেখানে করা বা না করার কোন অপ্সান নাই। বাবা-মায়ের সেবা যত্ন করতেই হবে। এটা মানুষের স্বভাবজাত হওয়া উচিত। বাবা মা লাখ ভুল করলেও, লাখ অন্যায় করলেও তারা সম্মান, ভালোবাসা, যত্ন পাওয়ার অধিকারী। তাদের কোন ব্যবহারেই বিরক্ত হয়ে উফঃ পর্যন্ত করা যাবে না। আমাদের সমাজে বৃদ্ধ বাবা মায়ের অবস্থা দিন দিন অনেক অনেক করুণ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। ধর্মীয় নৈতিকতা, মুল্যবোধ এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার ভয় না থাকলে সমাজ থেকে এসব ক্যানসার দূর করা সম্ভবও না। তাই বাবা মায়েদের উচিত এসব ব্যাপারে যত্নশীল হওয়া।

✿ মহান আল্লাহ বলেন -❝তাকে যে সংবাদ দেওয়া হয় (কন্যা সন্তান জন্মের ব্যাপারে), তার গ্লানি হেতু সে নিজ সম্প্রদায় হতে আত্মগোপন করে; সে চিন্তা করে যে, হীনতা সত্ত্বেও সে তাকে রেখে দেবে না মাটিতে পুঁতে দেবে। সাবধান! তারা যা সিদ্ধান্ত করে তা কতই না নিকৃষ্ট।❞ [সুরা নাহল/৫৯]
বিশ্বনবী (সা.) বলেন -
❝যার গৃহে কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করল, অতঃপর সে তাকে (কন্যাকে) কষ্টও দেয়নি, তার উপর অসন্তুষ্টও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে প্রাধান্য দেয়নি, তাহলে ঐ কন্যার কারনে আল্লাহ তা'য়ালা তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন।❞ [মুসনাদে আহমদ, ১:২২৩]

✿ ইসলামে মানুষের সাথে উত্তম কথা বলা, উপদেশ দেওয়া, দেখে মুচকি হাসা, কারও সমালোচনা না করা ইত্যাদি হল ইবাদত।

✿ ইমাম আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাকের (রাহিমাহুল্লাহ) প্রতিবেশী ছিলো একজন ইহুদি। ইমাম নিজের সন্তানদেরকে খাওয়ানোর পূর্বেই সর্বদা সে ইহুদিকে খাওয়াতেন এবং প্রথমে তাকে কাপড় দেয়ার পর সন্তানদের কাপড়-চোপড় দিতেন। এক সময় কিছু লোক ইহুদি লোকটিকে বলেছিলো, “আমাদের কাছে তোমার বাড়িটি বিক্রি করে দাও।” (যদিও বাড়িটির মুল্য এক হাজার দিনার কিন্তু ইহুদি) উত্তর দিয়েছিলো, “আমার বাড়ির দাম দু’হাজার দিনার, এক হাজার বাড়ির মূল্য এবং আরেক হাজার ইবনে মুবারাক প্রতিবেশী হবার কারণে।”

✿ ধর্ম যার যার, উৎসব যার যার কিন্তু শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব সবার। বর্তমানে আমাদের দেশের যা অবস্থা বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের মধ্যে শান্তি ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করাই সবথেকে বড় দেশপ্রেম। এটাই সবথেকে বড় দেশভক্তি। সেনারা যদি বাইরের শত্রু থেকে আমাদের রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করে তবে আমাদেরও উচিত দেশের সাম্প্রদায়িক শত্রুগুলোর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করা। কারণ, ভারত সবসময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দুর্বল হয়েছে, বদনাম হয়েছে সাম্প্রদায়িক ঝামেলা গুলোর কারণেই! তাই সকল বাংলাবাসী শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের কাছে অনুরোধ করব নিজ নিজ অবস্থান থেকে অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যান এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার ও ঐক্য তৈরির চেষ্টা করে জান। নিশ্চয় মানুষদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ তারাই যাদের সাথে অন্যরা সহজে মিশতে পারে এবং তারাও অন্যদের সাথে সহজে মিশতে পারে।

✿ আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি 'কলম'। কুর'আনের প্রথম শব্দ 'পড়ো'। জ্ঞান অর্জন সকল মুসলিম নর ও নারীর জন্য 'অত্যাবশ্যকীয়'। একটু ভাবুন!!

✿ আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে লিখলে, এমনকি একটা হাদীস বা আয়াত শেয়ার করলেও মহাহিসাবের দিন তার প্রতিদান পেয়ে অবাক হয়ে যাবেন ইনশা'আল্লাহ। আর জনপ্রিয় হওয়ার জন্য এবং নিজেকে জ্ঞানী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য লিখলে শুধু 'লাইক' পেয়েই খুশি হতে হবে। সাথে মহাবিচার দিবসের বঞ্চিত হয়ে থাকতে হবে বিশাল পুরুস্কার থেকে!

✿ আজ থেকে সারে চৌদ্দশ বছর আগের কথা। যখন পরিবেশ দুষিত ছিল না। বায়ু বিষাক্ত ছিল না। গাছ গাছালির অভাব ছিল না। বন জঙ্গল কেটে বসতি বানানোর ঝামেলা ছিল না। ৭০০ কোটি মানুষ ছিল না তাই ফার্নিচার বানানোর জন্য খুব বেশি গাছ কাটার প্রয়োজনও ছিল না। মোটকথা, গাছ নিয়ে কোন সমস্যাই ছিল না। কিন্তু একটা লোক সেই সময় গাছ লাগানোর জন্য অনেক অনেক তাগিদ করেগেছেন। তিনি বলেছেন গাছ লাগানো চ্যারিটি! সেই গাছ থেকে পশু পাখি কিছু খেলে চ্যারিটি, কেউ ফুল ফুল চুরি করলেও চ্যারিটি, এমনকি কেউ সেই গাছের ছায়ায় আরাম করলে বা যেকোনভাবে উপকৃত হলে গাছ লাগানো ব্যক্তির পক্ষ থেকে তা চ্যারিটি!! শুধু তাই না, তিনি বলেছেন পৃথিবী ধ্বংশ হওয়ার মহুর্তেও যদি তোমাদের কারও হাতে চারা গাছ থাকে আর সে যদি তা লাগাতে সক্ষম হয় তবে যেন তা লাগিয়ে দেয়। তিনি আরো বলেছেন যে খামাখা গাছ কেটে ফেলে তার মাথাকে সর্বশক্তিমান ইশ্বর জাহান্নামের আগুনে ঢুকিয়ে দেবেন!আপনি কি জানেন সেই মানুষটা কে? তিনি হলেন পৃথিবীবাসীর জন্য রহমত, তিনি বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (সা.)। এই মানুষটি সম্পর্কে যদি কারও জানতে আগ্রহ না হয় তবে তার জন্য আফসোস।

✿ তর্ক করে নয়, স্মরণ করিয়ে কাজ হয়!

Saturday 1 October 2016

ফেসবুক স্টেটাস - ১


 যদি সুখী হতে চান আপনার চারপাশের মানুষ জনের উপর সুধারণা রাখুন। হতে পারে তাদের অনেকে আপনার ব্যাপারে সুধারণা রাখেনা, আপনার সমালোচনা করে। তারপরেও আপনি পজিটিভ হোন। তাদের ব্যাপারে নেগেটিভ ভাবতে ভাবতে আপনি এক সময় সব মানুষকে খারাপ ভাবতে শুরু করবেন। ফলে আপনার মন থেকে শান্তি উড়ে যাবে। আপনি সবসময় উত্তেজিত থাকবেন প্রতিশোধের আগুনে। ফলে নিজে জ্বলবেন আর শুধু নিজেই জ্বলবেন। এর থেকে অনেক ভালো লোকেদের ব্যাপারে সুধারণা রাখা। তাদের খারাপ কাজ গুলোকে ভুলে ভালো কাজ গুলোকে মনে রাখা। শান্তিকামীদের জন্য এটাই শ্রেষ্ঠ পথ!

✒ ভাই, আনন্দে থাকতে চাইলে নিউজ চ্যানেল দেখা বন্ধ করুন। এতে আপনার মন মস্তিষ্ক, শরীর সব ভালো থাকবে। আর খবর জানার জন্য নিউজপেপার পড়ুন। এতেও আপনার জন্য ক্ষতিকর জিনিস থাকলেও নিউজ চ্যানেলের থেকে কম। আর একান্তই যদি নিউজ চ্যানেল দেখতেই হয় তবে NDTV INDIA দেখুন। বিশেষ করে রাভিশ কুমারের রিপোর্ট এবং টক শো গুলো। নিসন্দেহে ভারতের একমাত্র (তুলনামুলক) নিরপেক্ষ নিউজ চ্যানেল। আর রাভিশ কুমার তো সেরার সেরা!

✒ যে মুসলিম ভাইয়েরা মহরম, জালসা বা অন্য কারনে রাস্তা আটকে, রাস্তার এবং পথচারীদের হক নষ্ট করে চাঁদা আদায় করে, দোকানে দলবল নিয়ে জোরপুর্বক চাঁদা আদায় করে, ক্লাবের তরফ থেকে বিভিন্ন মানুষের উপর চাপ দিয়ে তোলা আদায় করে তারা সাবধান! বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (সা.) আমাদের কঠোরভাবে সাবধান করেছেন। তিনি বলেছেন, ''নিশ্চয়ই চাঁদাবাজরা জাহান্নামে যাবে''। [আহমাদ, তাবারানী, সিলসিলাহ সহীহাহ/৩৪০৫]

✒ বর্তমান সমাজে বিশেষ করে গ্রাম গুলোতে মেয়েদের উপর যত অত্যাচার, অবিচার, নির্যাতন হয়; সেই হিসেবে আরো অনেক অনেক নারী সংগঠনের দরকার। একেকটা ঘটনা শুনে চোখের জল আটকে রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। দুঃখ আর ভয়ংকর ব্যাপার হল ঘটনা গুলো মাঝে মাঝেই শুনি।

✒ বিপদ, দুঃখ, রোগ ব্যাধী গুলো দুনিয়াবী নজরে খুব খারাপ এবং অশান্তির। কিন্তু একজন প্রকৃত মুসলিমের জন্য তা আল্লাহর বিশাল রহমত। প্রত্যেক কষ্ট আসলে পাপমোচনকারী। আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার একটা মাধ্যম। দুনিয়ার প্রত্যেক কষ্টের বিনিময় মহান আল্লাহ বিশ্বাসীদের এত এত দেবেন যে অনান্য লোকেরা আফসোস করে বলবে দুনিয়াতে আমাদের শরীর যদি কাঁচি দিয়ে কাঁটা হতো তবে কতই না ভালো হতো!

✒ জীবনে কষ্ট পাওয়াও জরুরি। সফলতার জন্য। আসে পাশের সফল ব্যক্তিত্বদের দেখলে আমরা এটাই শিক্ষা পায়। যারা সুখে থেকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কাজ করেছে তাদের থেকে কষ্ট আর অপ্রতিকূল পরিস্থিতিতে কাজ করা লোকেরা বেশি সফল।

✒ যারা পাকিস্থানের সাথে যুদ্ধ করা নিয়ে লাফাচ্ছেন তারা কি নিজেরা যাবেন যুদ্ধের ময়দানে? সারা বিশ্বের শান্তিকামী লোকেরা 'যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই' শ্লোগান দিচ্ছেন আর আমাদের দেশের কিছু সস্তা দেশভক্ত যুদ্ধের জন্য শ্লোগান তুলছেন। তারা কি খেয়াল করেনা, যুদ্ধ মানে কত প্রানের মৃত্যু, কত মায়ের সন্তানশোক, কত স্ত্রীর স্বামী হারানো, কত বাচ্চার অনাথ হওয়া। তারা কি ভেবে দেখেনা, আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য যুদ্ধ কতটা ভয়ংকর, কত হাজার কোটি টাকার লস, জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি। এত দেশভক্তি ফেসবুক টুইটারে কেন? আর্মিতে যোগ দিতে কে বাঁধা দিচ্ছে আপনাদের?!

✒ ইন্ডিয়া আমার দেশ। ইন্ডিয়া আমার জন্মভূমি। একজন ভারতীয় হিসেবে তো বটেই, একজন মুসলিম হিসেবেও আমি এই দেশকে ভালোবাসি। কারন, একজন মুসলিম হিসেবে আমি তাকদ্বীরে বিশ্বাসী। আর আমার তাকদ্বীরে এটাই ছিল যে আমি ভারতে জন্মগ্রহণ করি। অর্থাৎ আল্লাহ আমার জন্য চেয়েছেন আমি একজন ভারতীয় হই। আল্লাহ চাননি আমি বাংলাদেশী, নেপালী বা ব্রিটিশ হই। নিজের জন্মভুমির প্রতি ভালোবাসা আর অন্ধ জাতীয়তাবাদ এক নয়। আমি যেহেতু আমার দেশকে ভালোবাসি তাই ইন্ডিয়াকে 'রেন্ডিয়া' বলাদের প্রতি ঘৃণা আসবেই। ফেসবুকে সেই ঘৃণার প্রকাশ ঘটবে আন ফ্রেন্ড করার মাধ্যমে। নিজের দেশের প্রতি অন্য দেশের নাগরিকদের কাছে যে সম্মানটুকু চান সেটা আগে নিজেও দেওয়ার চেষ্টা করুন। বাংলাদেশকে বেশ্যারদেশ বলায় যেমন দেশভক্তি প্রকাশ পায় না, তেমনি ইন্ডিয়াকে রেন্ডিয়া বলাতেও পায় না।

✒ পাক-বাংলাদেশকে ভারত থেকে আলাদা করা যদি কোন ভুল না হয়ে থাকে তবে কাশ্মীরকে আলাদা করাও কোন ভুল হবেনা। আমরা যে কোন মুল্যে কাশ্মীরে শান্তি চাই। কাশ্মীরে ভারতে রেখে অথবা আজাদ করে। যদি ভারতে রেখে শান্তি সম্ভব না হয় তবে আজাদ করেই হোক। সেনা আর বুলেটের ভয়ে কি এক কোটি মানুষকে গুলাম বানিয়ে রাখা সম্ভব?! আমরা একটা কাশ্মিরিরও মৃত্যু চাই না। আমরা একটাও সেনাদের মৃত্যু চাই না। আমরা একটা বাচ্চাকেও অনাথ দেখতে চাই না। এবার আলাদা করে একটু ভাবা হোক। নতুন জানালা খোলা হোক। বাস্তব সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হোক। অনেকেই হয়ত সস্তা দেশভক্তি দেখিয়ে বলবেন কাশ্মীর নাহি ছোড়েঙ্গে ইত্যাদি। কিন্তু আপনারা কি এভাবেই বছরের পর বছর খুন খারাপি, অশান্তি আর কোটি কোটি টাকার অপচয় দেখতে চান? আর কত বছর লাগবে? কত সেনাকে শহীদ হতে লাগবে? কত কাশ্মীরিকে হত্যা করতে হবে? তারপর আসবে শান্তি! নাকি কাশ্মীরে শান্তি আসবেইই না কখনও। মানবতা কি ঠুকরে ঠুকরে কাদবে কাশ্মীরে!