কন্যা হত্যা এবং ইসলাম
– ‘এখনই বাচ্চা নিতে চাইছিনা‘
– ‘প্রথম বাচ্চা তো সবে দের বছর হল..‘
– ‘খাওয়াবো কী? থাকবে কোথায়?
– ‘শুধু খাওয়ালেই হয়না, মানুষও করতে হবে‘
– ‘মেয়ের বিয়ে দেওয়ার মত টাকা কোথায় পাবো‘
এরকম হাজারও বাহানায় ভ্রুণ হত্যা করা সমাজে সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারী উদ্যোগে প্রকাশ্যে এসব হচ্ছেনা বটে কিন্তু গোপনে এই একবিংশ শতাব্দীতেও এই জঘন্য কাজ হয়েই চলেছে। মানুষ দিনের পর দিন ফিরে যাচ্ছে সেই জাহিলিয়াত যুগে যে যুগ থেকে ইসলাম পৃথিবীকে মুক্ত করেছিল। জাহিলিয়াত যুগে কন্যা সন্তানকে বালুতে পুঁতে ফেলা হতো, প্রাচীন ভারতে কন্যা সন্তান জন্মালে নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে বলা হতো, ‘তুমি যাও এবং তোমার ভাইকে পাঠিয়ে দাও‘। আজও সেই লজ্জাজনক কাজ হয়ে চলেছে। তফাত এইটুকু যে এখন বালুতে পুঁতে না, নদীতে ভাসায় না.. এখন ডাসবিন, নোংরা জায়গায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
…. কন্যা সন্তান জন্মালে দুঃখী হওয়া, অপছন্দ করা বা হত্যা জাহেলী যুগের আচরণ। মহান আল্লাহ বলেন,
‘তোমাদের সন্তানদেরকে তোমরা দারিদ্র-ভয়ে হত্যা করো না, আমিই তাদেরকে জীবনোপকরণ দিয়ে থাকি এবং তোমাদেরকেও। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ‘।[বানী ইস্রাইল/৩১]
‘তাকে যে সংবাদ দেওয়া হয় (কন্যা সন্তান জন্মের ব্যাপারে), তার গ্লানি হেতু সে নিজ সম্প্রদায় হতে আত্মগোপন করে, সে চিন্তা করে যে, হীনতা সত্ত্বেও সে তাকে রেখে দেবে না মাটিতে পুঁতে দেবে। সাবধান! তারা যা সিদ্ধান্ত করে তা কতই না নিকৃষ্ট‘ [সুরা নাহল/৫৯]
বাঁচার অধিকার মানুষের জন্মগত অধিকার। এটা আল্লাহর দেওয়া অধিকার। এই অধিকার বাচ্চা-বড়র আলাদা নয়। নিশ্চয় ভ্রুণ হত্যা করাও খুন। পুত্র-কন্যা যেই ভ্রুণ‘ই হোক। এই হত্যার হিসাব দুনিয়াতে না হলেও, সেই কন্যা দুনিয়াতে বিচার না পেলেও মহান আল্লাহর কাছে অবশ্যই পাবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘যখন জীবন্ত-প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে, কোন অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিল?’… [সুরা তাকফির/৮-৯]
No comments:
Post a Comment