Tuesday 27 September 2016

মুহাম্মাদ (সা.) মানবতার মুক্তির দিশারী


পৃথিবীতে যে ব্যক্তিত্বকে নিয়ে সবথেকে আলোচনা সমালোচনা হয়েছে তিনি নিসন্দেহে মুহাম্মাদ সা. পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত লেখক, খেলোয়ার, সাংবাদীক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ইতিহাসবীদ, বিজ্ঞানীরা তাঁকে নিয়ে অনেক লেখালেখি, আলোচনা-সমালোচনা করেছেন। অনেকেই তাঁর প্রশংসা করেছেন আবার অনেক লোক সস্তা পাবলিসিটির জন্য তাঁর সমালোচনাও করেছেন। একথা বলছি কারণ ব্লগিং করতে গিয়ে দেখেছি ভাষাজ্ঞান নেই এমন ব্লগারও ইসলামের বিরুদ্ধে লিখে ফেমাস ব্লগার হয়েছে। তবে সলমান রুশদি, আরুন সৌরি, তসলিমা নাসরিনের মতো তৃতীয় শ্রেনীর লেখক বা পরিচালকরা যতই বই লিখে বা ছবি বানিয়ে মুহাম্মাদের (সা.) চরিত্রকে কলংকিত করার চেষ্টা করুক তারা তাদের উদ্দেশ্যে কখনো সফল হবেনা। কারণ সত্য সবসময় মিথ্যার উপর বিজয় লাভ করে। আল্লাহ বলেছেন – ‘বলো, সত্য এসেছে মিথ্যা মুছে গেছে, মিথ্যা তো মুছে যাবার জন্যই’। আজ মুহাম্মাদ সা. সম্পর্কে পৃথিবীর বিখ্যাত মনীষিদের মতামত জানাবো আপনাদের। তসলিমা, রুশদিরা সস্তা পাবলিসিটির জন্যই ইসলামের বিরুদ্ধে লেখে। কিন্তু এরা কোন স্বার্থে ইসলামের প্রশংসা করেছে ?

◆ জর্জ বার্নাড শ’ লিখেছেন☛   আমি তাঁর(মুহাম্মদ) সম্বন্ধে পড়াশোনা করেছি – চমৎকার একজন মানুষ এবং আমার মতে খ্রিস্টবিরোধী হওয়া সত্বেও তাঁকে অবশ্যই মানবতার ত্রাণকর্তা বলতে হবে। আমি বিশ্বাস করি তাঁর মতো ব্যক্তির নিকট যদি আধুনিক বিশ্বের একনায়কতন্ত্র অর্পণ করা হতো তবে এর সমস্যাগুলো তিনি এমনভাবে সফলতার সাথে সমাধান করতেন যা বহু প্রতিক্ষীত শান্তি ও সুখ আনয়ন করতো। আমি ভবিষ্যতবাণী করছি যে মুহাম্মদের ধর্মবিশ্বাস আগামীদিনের ইউরোপের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, যা ইতিমধ্যে বর্তমান ইউরোপে গ্রহণযোগ্যতা পেতে আরম্ভ করেছে। [‘The Genuine Islam,’ Vol. 1, No. 8, 1936]

◆ থমাস কার্লাইল লিখেছেন ☛  এ লোকটিকে (মুহাম্মদ) ঘিরে যে মিথ্যাগুলো (পশ্চিমা অপবাদ) পূন্জীভূত হয়ে আছে- যার ভালো অর্থ হতে পারে ধর্মান্ধতা, তা আমাদের নিজেদের জন্যই লজ্জাজনক। [ ‘Heroes and Hero Worship and the Heroic in History,’ 1840]

◆ মহাত্মা গান্ধী লিখেছেন ☛  আমি জীবনগুলোর মধ্যে সেরা একজনের জীবন সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম যিনি আজ লক্ষ কোটি মানুষের হৃদয়ে অবিতর্কিতভাবে স্থান নিয়ে আছেন…….যেকোন সময়ের চেয়ে আমি বেশী নিশ্চিত যে ইসলাম তরবারির মাধ্যমে সেইসব দিনগুলোতে মানুষের জীবন-ধারণ পদ্ধতিতে স্থান করে নেয়নি। ইসলামের প্রসারের কারণ হিসেবে কাজ করেছে নবীর দৃঢ় সরলতা, নিজেকে মূল্যহীন প্রতিভাত করা, ভবিষ্যতের ব্যাপারে সতর্ক ভাবনা, বন্ধু ও অনুসারীদের জন্য নিজেকে চরমভাবে উৎসর্গ করা, তাঁর অটল সাহস, ভয়হীনতা, ঈশ্বর এবং তাঁর(নবীর) ওপর অর্পিত দায়িত্বে অসীম বিশ্বাস। এ সব-ই মুসলমানদেরকে সকল বাঁধা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। যখন আমি মুহাম্মদের জীবনীর ২য় খন্ড বন্ধ করলাম তখন আমি খুব দু:খিত ছিলাম যে এই মহান মানুষটি সম্পর্কে আমার পড়ার আর কিছু বাকি থাকলো না। [‘Young India,’1924]

◆ ড. উইলিয়াম ড্রাপার লিখেছেন ☛  জাস্টিনিয়ানের মৃত্যুর চার বছর পর, ৫৬৯ খ্রিস্টাব্দে আরবে একজন মানুষ জন্মগ্রহণ করেন যিনি সকলের চাইতে মানবজাতির ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছিলেন….অনেক সাম্রাজ্যের ধর্মীয় প্রধান হওয়া, মানবজাতির এক তৃতীয়াংশের প্রাত্যহিক জীবনের পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করা– এসবকিছুই সৃষ্টিকর্তার দূত হিসেবে তাঁর উপাধির যথার্থতা প্রমাণ করে। [History of Intellectual Development of Europe]

◆ Alphonse de LaMartaine লিখেছেন ☛  উদ্দেশ্যের মহত্ব, লক্ষ্য অর্জনের উপায়সমূহের ক্ষুদ্রতা এবং আশ্চর্যজনক ফলাফল যদি অসাধারণ মানুষের তিনটি বৈশিষ্ট্য হয় তবে কে মুহাম্মদের সাথে ইতিহাসের অন্য কোন মহামানবের তুলনা করতে সাহস করবে ? বেশীরভাগ বিখ্যাত ব্যক্তি শুধুমাত্র সেনাবাহিনী, আইন এবং সাম্রাজ্য তৈরী করেছেন। তাঁরা যদি কিছু প্রতিষ্ঠা করে থাকেন সেটা কিছুতেই জাগতিক ক্ষমতার চাইতে বেশি কিছু নয় যা প্রায়ই তাদের চোখের সামনে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই মানুষটি শুধুমাত্র সেনাবাহিনী, আইন, সাম্রাজ্য, শাসক, লোকবল-ই পরিচালনা করেননি সেইসাথে তৎকালীন বিশ্বের লক্ষ-লক্ষ মানুষের জীবনকে আন্দোলিত করেছিলেন; সবচেয়ে বড় কথা হলো তিনি দেব-দেবী, ধর্মসমূহ, ধারণাগুলো, বিশ্বাসসমূহ এবং আত্মাগুলোকে আন্দোলিত করেছিলেন। দার্শনিক, বাগ্মী, বার্তাবাহক, আইনপ্রণেতা, নতুন ধারণার উদ্ভাবনকারী/ধারণাকে বাস্তবে রূপদানকারী, বাস্তব বিশ্বাসের পুনরুদ্ধারকারী…..বিশটি জাগতিক এবং একটি আধ্যাত্মিক সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা-এই হলো মুহাম্মদ। মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব পরিমাপের যত মাপকাঠি আছে তার ভিত্তিতে বিবেচনা করলে আমরা নিজেদেরকে প্রশ্ন করতে পারি- মুহাম্মদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কেউ আছে কি ? [Historie de la Turquie,’ Paris, 1854]

◆ মাইকেল এইচ. হার্ট লিখেছেন ☛  মুহাম্মদকে সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষস্থান দেয়াটা অনেক পাঠককে আশ্চর্যান্বিত করতে পারে এবং অন্যদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক হতে পারে, কিন্তু ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি সেকুলার এবং ধর্মীয় উভয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ পরিমাণ সফল ছিলেন। সম্ভবত ইসলামের ওপর মুহাম্মদের তুলনামূলক প্রভাব খ্রিস্টান ধর্মের ওপর যীশু ও সেইন্ট পলের সম্মিলিত প্রভাবের চেয়ে বেশী।…. আমি মনে করি, ধর্মীয় ও সেকুলার উভয়ক্ষেত্রে প্রভাবের এই বিরল সমন্বয় যোগ্য ব্যাক্তি হিসেবেই মুহাম্মদকে মানবেতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী একক ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভুত করেছে। [The 100, A Ranking of the Most Influential Persons In History,’ New York, 1978]

◆ W. Montgomery Watt লিখেছেন ☛  নিজ আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য সকল প্রকার কষ্ট সহ্য করা, তাঁকে যারা বিশ্বাস করতো এবং নেতা হিসেবে অনুসরণ করতো তাদের সুউচ্চ চারিত্রিক গুণাবলি, এবং মুহাম্মদের অর্জনের বিশালত্ব- এ সবকিছুই তাঁর সততার সাক্ষ্য দেয়। মনে করা হয় মুহাম্মদ একজন অসাধু ব্যাক্তি যিনি সমাধানের চেয়ে সমস্যাই বেশী সৃষ্টি করেছেন। অধিকন্তু, আর কোন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বই মুহাম্মদের মতো পাশ্চাত্যে এতবেশী অবমূল্যায়িত হয়নি……শুধুমাত্র যা বর্ণিত হয়েছে তার ভিত্তিতে নয়, আমরা যদি মুহাম্মদকে সামান্য পরিমাণও বুঝতে চাই তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সততা ও ন্যায়পরায়ণতা সহকারে তাঁকে বিচার করতে হবে। আমরা যদি আমাদের অতীত থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ভূলগুলো সংশোধন করতে চাই তবে এটা ভূলে গেলে চলবে না যে চুড়ান্ত প্রমাণ আপাতদৃষ্টিতে যা সত্য বলে প্রতীয়মান হয় তারচেয়ে অনেক কঠিন শর্ত। এবং এই ব্যাপারে প্রমাণ অর্জন সত্যিই দু:সাধ্য হবে। [‘Muhammad at Mecca,’ Oxford, 1953]

◆ গিবন লিখেছেন ☛  মুহাম্মদের মহত্বের ধারণা আড়ম্বড়পূর্ণ রাজকীয়তার ধারণাকে অস্বীকার করেছে। স্রষ্টার বার্তাবাহক পারিবারিক গৃহকর্মে নিবেদিত ছিলেন; তিনি আগুন জ্বালাতেন; ঘর ঝাড়ু দিতেন; ভেড়ার দুধ দোয়াতেন; এবং নিজ হাতে নিজের জুতা ও পোষাক মেরামত করতেন। পাপের প্রায়শ্চিত্তের ধারণা ও বৈরাগ্যবাদকে তিনি অস্বীকার করেছেন। তাঁকে কখনো অযথা দম্ভ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি, একজন আরবের সাধারণ খাদ্যই ছিলো তাঁর আহার্য। [The Decline and Fall of the Roman Empire’ 1823]

◆ Lane-Poole লিখেছেন ☛  তিনি যাদেরকে আশ্রয় দিতেন তাদের জন্য ছিলেন সবচেয়ে বিশ্বস্ত রক্ষাকারী, কথাবার্তায় ছিলেন অত্যন্ত মিষ্টভাষী ও নম্র। তাঁকে যারা দেখত তারা শ্রদ্ধায় পূর্ণ হতো; যারাই তাঁর কাছে এসেছিল তাঁকে ভালবেসেছিল; যারা তাঁর সম্বন্ধে বর্ণনা দিত তারা বলতো, ” তাঁর মতো মানুষ আগে বা পরে আমি কখনো দেখিনি।” তিনি ছিলেন অতি স্বল্পভাষী, কিন্তু যখন তিনি কথা বলতেন জোরের সাথে এবং সুচিন্তিতভাবে কথা বলতেন। এবং তিনি যা বলতেন তা কেউ ভুলতে পারতো না। [Speeches and Table Talk of the Prophet Muhammad]

◆ Jules Masserman লিখেছেন ☛  নেতাদের অবশ্যই তিনধরনের কাজ সম্পাদন করতে হয়- অনুসারীদের মংগলের ব্যবস্থা করা, এমন একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি করা যেটাতে সাধারণ লোকজন তুলনামূলকভাবে নিরাপত্তা বোধ করে, এবং অনুসারীদের জন্য একটি পূর্ণাংগ বিশ্বাসের যোগান দেয়া। প্রথমটি বিবেচনায় নেতা হলেন লুই পাস্তুর এবং সাল্ক( Salk)। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় একদিকে গান্ধী ও কনফুসিয়াস এবং অন্যদিকে আলেকজান্ডার, সীজার ও হিটলার- এরা হলেন নেতা। যীশুখ্রিস্ট ও গৌতম বুদ্ধ তৃতীয়টি বিবেচনায় নেতা। সম্ভবত মুহাম্মদ হলেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নেতা যিনি ওপরোক্ত তিনটি কার্যাবলীই সম্পাদন করেছেন। স্বল্প পরিসরে হলেও মুসাও একই কাজ করেছিলেন। [Who Were Histories Great Leaders?’ in TIME Magazine, July 15, 1974]

◆ W.C. Taylor লিখেছেন ☛  দরিদ্র লোকদের প্রতি তাঁর সদয়তা এত বেশী ছিল যে প্রায়ই পরিবার-পরিজনকে উপবাস করতে হতো। তিনি শুধু তাদের অভাব মোচন করেই তৃপ্ত হতেন না, তাদের সাথে কথা-বার্তা বলতেন এবং তাদের দু:খ-দুর্দশার জন্য গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করতেন। তিনি ছিলেন ঘনিষ্ট বন্ধু এবং বিশ্বস্ত সহযোগী। [The History of Muhammadanism and its Sects]

◆ Reverend Bosworth Smith লিখেছেন ☛  রাষ্ট্রপ্রধান একইসাথে উপাসনাগৃহের প্রধান, তিনি ছিলেন একই সাথে সীজার এবং পোপ; তিনি পোপ ছিলেন কিন্তু পোপের দুরহংকার ছাড়া, তিনি সীজার ছিলেন কিন্তু সীজারের মতো বিরাট সেনাবাহিনী ছাড়া, দেহরক্ষী ছাড়া, শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া, স্থায়ী কোন ভাতা ছাড়া। যদি আজ পর্যন্ত কোন মানুষ ন্যায়বিচারপূর্ণ স্বর্গীয় শাসন করে থাকে, তবে সেটা ছিলেন মুহাম্মদ। [Muhammad and Muhammadanism,’ London, 1874]

◆ Dr. Gustav Weil লিখেছেন ☛  মুহাম্মদ ছিলেন তাঁর অনুসারীদের জন্য জাজ্বল্যমান দৃষ্টান্ত। তাঁর চরিত্র ছিল নিষ্কলুষ এবং দৃঢ়। তাঁর গৃহ, পোষাক, খাদ্য- সবই ছিল অতি সাধারণ। তিনি এতই নিরহংকার ছিলেন যে তাঁর সংগীদের কাছ থেকে বিশেষ কোন সম্মান গ্রহণ করতেন না কিংবা যে কাজ তিনি নিজে করতে পারতেন তাঁর জন্য অযথা ভৃত্যের সাহায্য নিতেন না। সবসময় সবার জন্য তাঁর দ্বার ছিল উন্মুক্ত ছিল। তিনি অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যেতেন এবং সবার প্রতি তাঁর অপরিসীম সহানুভূতি ছিল। তাঁর বদান্যতা ও মহানুভবতা ছিলো অসীম, সেইসাথে তিনি সবসময় অনুসরীদের মংগলের কথা চিন্তা করতেন। [‘History of the Islamic Peoples’]

◆ J.W.H. Stab লিখেছেন ☛  তাঁর কাজের সীমা এবং স্থায়িত্ব বিবেচনা করলে শুধু মক্কার নবী হিসেবে নয় পৃথিবীর ইতিহাসে তিনি আরও দীপ্তিময়ভাবে জ্বলজ্বল করছেন। …..মানুষের বিখ্যাত হওয়ার মাপকাঠি অনুসারে বিচার করলে তাঁর সাথে অন্য কোন মরণশীলের খ্যাতি তুলনীয় হতে পারে কি ? [Islam and its Founder]

◆ Washington Irving লিখেছেন ☛  মুহাম্মদের সামরিক বিজয় তাঁর মাঝে কোন গর্ব ও অযথা দম্ভ জাগায়নি। প্রতিকূল দিনগুলোতে তাঁর আচার-ব্যবহার ও পোষাক-আশাক যেরকম সাধারণ ছিলো সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার পরও তা তিনি বজায় রেখেছিলে। রাজকীয় জাঁকজমক দূরে থাক, এমনকি কক্ষে ঢোকার পর তাঁর প্রতি কেউ বিশেষভাবে সম্মান প্রদর্শন করলে তিনি রেগে যেতেন। তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের ভালোবাসার পাত্র কারণ সবাইকেই তিনি আতিথেয়তার সাথে গ্রহণ করতেন এবং মনোযোগ সহকারে তাদের অভিযোগ শুনতেন। ব্যক্তিগত লেন-দেনের ক্ষেত্রে ছিলেন ন্যায়পরায়ণ । বন্ধু-আগন্তুক, ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল সবার সাথে সমতার সাথে ব্যবহার করতেন। [‘Life of Muhammad,’ New York,1920]

এরকম হাজারো উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। এঁরা কোন স্বার্থসিদ্ধির জন্য নয় বরং ইসলাম ও মুহাম্মাদের (সা.) সৌন্দর্য এবং চরিত্রে মুগ্ধ হয়েই লিখেছিলেন। তসলিমা নাসরিন কিংবা সলমান রুশদির অনান্য লেখা গুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে তাদের লেখার মান খুব নিন্মমানের। এমন আহামরী কিছু নয় যে এতটা জনপ্রিয়তা পাবে। শুধু ইসলামের বিরুদ্ধে লেখার জন্যই আজ তারা পরিচিত। যারা একথা বিশ্বাস করেন না তাদের কাছে একটা প্রশ্ন, সারা বিশ্বে হুমায়ন আহমেদ বেশি পরিচিত নাকি তসলিমা নাসরিন? আল্বাত তসলিমা নাসরিন। যারা সাহিত্যের ‘স’ ও পড়েনা তাড়াও তসলিমাকে চেনে। এর একমাত্র কারণ ইসলামের বিরুদ্ধে লেখা। নিজের প্রতিভা বা লেখনি ক্ষমতার জন্য নয়। হুমায়ন স্যারের পায়ের ধুলোর বরাবরও কি তসলিমা নাসরিন?

No comments:

Post a Comment